নারায়ণগঞ্জ ৭১:- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবৈধ ভাবে চলছে সিএনজি,, মাথা ব্যথা নেই হাইওয়ে পুলিশের। হাইওয়ে পুলিশের নামে চাঁদাবাজ মিঠু সিএনজি মালিকদের কাছ থেকে তুলছে লক্ষ লক্ষ টাকার চাঁদা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সিএনজির ড্রাইভার বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোঁখ ফাকি দিতে মিঠুর নামে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে চাঁদাবাজ মিঠু নিজের নাম মামুন পরিচয় দিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি করছে।
প্রকাশ্যে ৫ শতাধিক সিএনজি থেকে মাসে ১০ লক্ষ টাকার চাঁদাবাজি করলেও রহস্যজনক কারনে চাঁদাবাজ মিঠুকে গ্রেপ্তার করছেনা থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ।
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি চলাচলা করার জন্য চাঁদাবাজ মিঠু ৫ শতাধিক সিএনজি থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজের কথা বলে ১০ লক্ষ টাকার চাঁদাবাজি করছে। প্রতি সিএনজি থেকে মাসে ২ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। এর সত্যতা মিলবে সিএনজি চালকদের জিঞ্জাসা করলেই। কয়েক বছর ধরে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজ মিঠু এভাবে চাঁদাবাজি করে আজ কয়েক কোটি টাক মালিক বুনে গেছে। চিটাগাংরোডের কয়েকজন সিএনজি চালক জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচল করতে হলে সিএনজি প্রতি ২ হাজার টাকা দিতে হবে। তাহলে হাইওয়ে পুলিশ হয়রানি করবে না। টাকা না দিলে মহানড়কে সিএনজি নিয়ে উঠলে হয়রানি ও মামলার শিকার হতে হয়। তাই বাধ্য হয়ে মিঠুকে টাকা দেই। তারা আরও জানান, আমাদের সিএনজি সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা, গাউছিয়া, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সহ বিভিন্ন রোডে চলাচল করে। মিঠু প্রায় ৫ শতাধিক সিএনজি থেকে পুলিশকে ম্যানেজের কথা বলে মাসে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা সিএনজি মালিকদের কাছ থেকে তোলে।
উক্ত বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার ও র্যাব-১১ এর হস্তক্ষেপ কামনা করছে সিএনজি মালিকরা।