জাতীয়নারায়ণগঞ্জনিউজরাজনীতি

না.গঞ্জের সড়কে মহাসচিব তাদের রাজনীতিটা এখন কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে : শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ৭১ :- শামীম ওসমান এমপি বলেছেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব নারায়ণগঞ্জে এসে ৭-৮
জন নিয়ে রাস্তায় টায়ার জ্বালাচ্ছে। এতেই বুঝা যায়, তাদের রাজনীতিটা এখন কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

রোববার (৬ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে উপস্থিত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রজনীতি করার সাহস থাকলে রাস্তায় এসে করুন, গ্রেপ্তার হলে হন। আমরাও তো হয়েছি গ্রেপ্তার। এমন কোন জায়গা নাই যেখানে আমরা মার খাইনি। এক দিনে উনপঞ্চাশটা মামলাও খেয়েছি। তবে, এরকম ধ্বংসাত্মক কাজ তো আমরা করিনি। এধরনের শক্তি কখনো আমাদের স্বাধিনতার পক্ষের শক্তির সাথে পারবে না।

বিএন পির আগের মতো অগ্নি সন্ত্রাস ও মানুষ হত‍্যার মতো জঘন্যতম অপকর্মে ফিরেছে যার বাস্তব প্রমাণ আমরা দেখলাম ২৮ তারিখে পুলিশকে হত্যার ঘটনাটি। ওরা দেশ টাকে ফিলিস্তিনি বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

সাংবাদিকরা খবর প্রচার করতে গিয়ে ২৮ তারিখে যেভাবে হামলা করা হলো, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। বিএনপি ২০১৩,১৪,১৫ সালে যেভাবে আগুন সন্ত্রাস করেছিলো, তারা আবার সেই জায়গায় ফিরে যেতে চাচ্ছে। তবে, এবার তারা সেটা করতে পারবে না।

তিনি বলেন, তারা লন্ডন থেকে বসে মানুষকে উস্কাচ্ছে। আপনারা নিশ্চিত থাকেন, তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন না। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে এমন কোন শক্তিকে ক্ষমতায় আনা যারা দেশের স্বার্থ অন্যের কাছে বিলিন করে দিবে। তবে, জাতির পিতার কন্যা শেষ হাসিনা থাকা অবস্থায় তাদের সেই কাজ সফল হবে না। সঠিক সময় মতো নির্বাচন হবে। অনুরোধ করবো বিএনপির ওই সমস্ত নেতাদেরকে, যারা ছোট ছোট বাচ্চাদের মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে এসকল ধ্বংসাত্মক কাজ গুলো করাচ্ছেন; এধরনের নাশকতার যে আইন তাতে তাদের ভবিষ্যতে কিন্তু বড় ধরনের সমস্যা হবে। তখন এই নেতারা কিন্তু ওদের পাশে থাকবেন না।

শামীম ওসমান আরও বলেন, আমরা চাই না কোন বাসে আগুন লাগুক, কারো ব্যাক্তিগত সম্পদে আঘাত কার হোক। মানুষ তার ইচ্ছে হলে অবরোধ করবে, গাড়ি চালাবে না; আমরাও বলবো না গাড়ি চালাতে। তবে, তারা কি করছে আগুন দিয়ে দিচ্ছে।

শামীম ওসমান বলেন, জামাতরা তো তারাই, যারা ১৯৭১ সালে আমার মা বোনেদের সম্ভ্রম নিয়েছিলো। এরাই এখন মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। আমরা এখন পর্যন্ত ধৈর্য ধরছি, কারণ আমাদের ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে। যারা নারায়ণগঞ্জে অশান্তি সৃষ্টি করছেন, তারা এগুলো কইরেন না। নারায়ণগঞ্জের মানুষ তো জানে আপনাদের বাড়ি-ঘর কোথায়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোথায়। জনগন যদি ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা শুরু করে, আপনাদের কে রক্ষা করবে। তখন তো পুলিশের কাছে দৌড়াবেন আপনারা, যে পুলিশকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছেন।

এসময় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুইয়া সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু ও শেখ সাফায়াত আলম সানি সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button