পঙ্গু দরিদ্র ছাত্র হেদায়েতুল্লার কৃত্রিম পা লাগাতে এগিয়ে এলেন আবু নাইম ইকবাল
নারায়ণগঞ্জ ৭১.কম:- দরিদ্র ছাত্র হেদায়েতুল্লার কৃত্রিম পা লাগাতে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন আবু নাইম ইকবাল।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্যতম শিল্প নগরী সোনারগাঁ উপজেলার এই কৃত্বি সন্তান মাদক বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে শিক্ষা,সামাজিক মানবিক ক্রিড়াঙ্গনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন বিগত বছর গুলোতে যা লিখে ও বলে শেষ করা যাবে না।
এক সময় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অন্যতম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটির অন্যতম সদস্যদের একজন থাকলে ও বতর্মানে তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত।
জাতীয় পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সম্পাদক এর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সহ নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের অন্যতম সদস্যদের একজনের দায়িত্বে আছেন তিনি।
দরিদ্র ছাত্র হেদায়েতুল্লার কৃত্রিম পা লাগাতে আর্থিক সহযোগিতার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত একটি পোস্ট থেকে যতোটুকু জানা গেছে তার সবটুকুই নীচে হুবুহু তুলে ধরা হলো।
অটোটার সামনে ষ্ট্রেচারে ভর করে দাড়িয়ে থাকা ছেলেটির নাম হেদায়েতুল্লা। সে সোনারগাঁ জি আর ইনস্টিটিউশন স্কুল এন্ড কলেজের মানবিক বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র। তার মা মারাগেছে ছোটবেলাই, বাবা উপার্জনক্ষম নয়। একভাই গার্মেন্টসে চাকরি করে। হেদায়েতুল্লা লেখা পড়া করে সংসারের হাল ধরতে চায়। কিন্ত চরম দারিদ্রতার কারনে পড়াশোনার পাশাপাশি সে মাছের আরতে ভেন গাড়ি দিয়ে বরফ সরবরাহ করত। কিন্ত বিধিবাম বরফ টানার সময় একবার তার হাটুর উপড়ে বরফ পরে গিয়ে হাটু কেটে যায়। ভূল চিকিৎসার কারনে এক সময়ে তার পায়ে পচন ধরে যায়। এক পর্যায়ে তার একটি পা কেটে ফেলা হয়। কিন্ত সে জীবন যুদ্ধে থামেনি। এক পা নিয়েই সে তার পড়াশোনা চালিয়ে যায়। এবং তার পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সার মাধ্যমে পড়াশোনার ফাঁকে আয় রোজগার করেন।
সম্প্রতি সে তার পায়ের চিকিৎসার জন্য সাভারের পক্ষাঘাত গ্রস্হ হাসপাতালের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। চিকিৎসক তাকে একটি কৃত্রিম পা লাগিয়ে দিতে ৭৫০০০/= ব্যাবস্হা করতে বলেন। তাহলে সে এই পায়ের উপর ভর করে কিছুটা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবে। এই রকম একটি ষ্ট্যটাস ফেসবুকের মাধ্যমে পেয়েছি।
আমি সোনারগাঁ জি আর ইনস্টিটিউশন এর শিক্ষক মশিউর রহমানের মাধ্যমে হেদায়েতুল্লাকে আমার কার্যালয়ে নিয়ে আসি। তাকে জিজ্ঞেস করার পর সে বলল তার আর ৩০,০০০/= টাকার প্রয়োজন। আমি তার বাকি টাকার ব্যাবস্হা করে তাকে কালকের মধ্যেই চিকিৎসা শুরু করার জন্য অনুরোধ করলাম। মহান রাব্বুল আল আমিন তাকে পায়ের উপর ভর করে লেখা পড়া চালিয়ে যেতে সহায়তা করুন, এই কামনা। তার এই চিকিৎসার জন্য সোনারগাঁ জি আর ইনস্টিটিউশন এন্ড কলেজের শিক্ষক সহ অন্যান্য যারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তাদের সকলের দান যেন মহান রাব্বুল আল আমিন কবুল করেন। আমিন।