দূর্গা পূজোতে ইতিহাস বদলে দিয়েছে করোনা বীর খ্যাত নাসিক ১৩ নং কাউন্সিলর খোরশেদ
নারায়ণগঞ্জ ৭১.কম:- ইতিহাস বদলে দিয়েছে করোনা বীর খ্যাত নাসিক ১৩ নং কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নীজের পেজে কাউন্সিলর উল্লেখ করে লিখেছেন, ওয়ার্ডের রবি দাস পাড়ায় গত বিশ বছর ধরে দলিত সম্প্রদায়ের পূজা উদযাপনের জন্য বিভিন্ন রকমের সহযোগীতা করার পাশাপাশি এবারও প্রতি বছরের মত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য পূজায় নতুন পোষাকের পাশাপাশি ররিদাসপাড়ায় দ্বিতীয় বারের মত দূর্গা পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) থেকে শুরু হয় দূর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। শনিবার ২১ অক্টোবর কাউন্সিলর খোরশেদ রবিদাসপাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে নতুন পোশাক উপহার দেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান একতানন্দ তিলক মহারাজ,তারাপদ আচার্য, বুড়ন মুখার্জি, স্বপন রবিদাস,সোহেল রবিদাস,সজল রবিদাস,জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
ইতিমধ্যে প্রতিমাসহ ররিদাসপাড়ায় পূজার প্রাথমিক সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও অষ্টমী ও নবমীতে ওয়ার্ডের মাসদাইর, গলাচিপা,জামতলা, আমলাপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ও দলিতদের মাঝে সহস্রাধিক থ্রীপিচ, শাড়ি ও লুঙ্গি পূজার উপহার হিসেবে বিতরণ করা হবে।
এ বিষয়ে দলিত রবিদাসপাড়া পঞ্চায়েতের নারী নেত্রী উষা রবি দাস জানান, কাউন্সিলর খোরশেদ বিপদে আপদে পাশে থাকা ছাড়াও গত ২০ বছর আমরা তার দেয়া নতুন শাড়ী পরে পূজা উৎযাপন করি।
রবিদাসপাড়া পঞ্চায়েতের সভাপতি নারায়ন রবি দাস জানান, ভূমি দস্যুদের কবল থেকে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা করা থেকে শুরু করে সকল কাজে আমরা খোরশেদ ভাইকে পাশে পাই।
কাউন্সিলর খোরশেদ জানান, সম্প্রীতির শহর নারায়নগঞ্জ। এতদিন দূর্গা পূজায় দলিত রবিদাস সম্প্রদায়ের (চর্মকার)নিজস্ব কোন আয়োজন ছিল না, তাদের আগ্রহের কারনে সামর্থ্যবান ব্যাক্তিবর্গের অনুদানে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে সহযোগিতা করেছি মাত্র।আমরা প্রমান করার চেষ্টা করেছি আমরা সম্প্রীতিতে বিস্বাসী।
গত বছর ২০২২ সালে প্রথম বারের মত সীমিত পরিসরে দূর্গাপূজার আয়োজন হয় রবিদাস পাড়ায়। এবার কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের সহযোগিতায় জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও গত ২০ বছর যাবত দূর্গা উৎসবে কাউন্সিলর খোরশেদ দুস্থ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে নিয়মিত নতুন বস্ত্র বিতরন করে আসছেন।